পোকার মত আকৃতির ড্রোন তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র
লিখেছেন লিখেছেন সাদা ক্যানভাস ১৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:১২:২৯ সকাল
আমেরিকা অতি ক্ষুদ্র ড্রোন তৈরির গবেষণায় ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এসব ড্রোন আকারে মশা-মাছির চেয়ে বড় না হলেও এতে বসানো থাকবে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন। এ ছাড়া, প্রয়োজনে এসব মশা-মাছিআকৃতির ড্রোন দিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে শক্রকে বিষ পর্যন্ত প্রয়োগ করা যাবে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এ ধরনের ড্রোন তৈরির গবেষণা করছে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষকদল। এ দলকে সহযোগিতা করছে ভার্জিনিয়ার আলিংটনে অবস্থিত রাইট-প্যাটারসন বিমান ঘাঁটির ‘ইউএস অফিস অব দ্যা সায়েনটেফিক রিসার্চ’। এ গবেষকরা ‘মাইক্রো অ্যারিয়েল ভেহিকেল’ বা এমএভি নামের কীট পতঙ্গ আকারের ড্রোন তৈরির কাজ করছে। এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে অনায়াসে নানা গোয়েন্দা অভিযান চালানো যাবে।
এ রকম কীট-পতঙ্গ আকারের ড্রোন দিয়ে অনেক কাজ করা যাবে। বলা যায়, বিজ্ঞান-কল্পতে যেসব কথা বলা হয় তার অনেকাংশ সফল হবে এসব ড্রোনেরমাধ্যমে। এসব ড্রোন দূর নিয়ন্ত্রিত হবে। মশা বা মাছির মতো অনায়াসে এসব ড্রোন সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহে এসে বসতে পারবে। তারপর অতিসূক্ষ্ম সুঁই ফুটিয়ে ব্যক্তিটির দেহ থেকে ডিএনএ নমূনা সংগ্রহ করে দ্রুত বেগেউড়ে সরে পড়বে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি এক্ষেত্রে মশার কামড়ের চেয়ে বেশি ব্যথা পাবেনা। তবে মশায় কামড়ালে যে রকম জ্বালা হয় তা অবশ্য হবে না। কিন্তু জায়গাটা ফুলে উঠবে। এই ড্রোন কেবল ডিএনএ নমুনাই সংগ্রহ করবেনা সেইসঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহে অতিক্ষুদ্র আকারের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন বা আরএফআইডি বসিয়ে দিয়ে আসবে। ফলে দূর থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির চলাফেরার ওপর নজর রাখা যাবে।কিংবা এ ড্রোন দিয়ে বিষও প্রয়োগ করা যাবে শত্রুপক্ষের লোকজনকে।
ধু আমেরিকাই নয় সেইসঙ্গে ইসরাইল,ফ্রান্স ও নেদারল্যাণ্ড একই ধরনের ড্রোন তৈরি করছে। এ কাজে অনেক এগিয়ে গেছে ইসরাইল। এক বিশেষ ধরনের হেলমেট পরে এ ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এ হেলমেট মাথায় দিলে প্রজাপতি-ড্রোন যা দেখবে তার সবই দেখতে পাবেন হেলমেটধারী ব্যক্তি।
বিষয়: বিবিধ
৯৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন